বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : আসামিদের গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে ও বিচার শেষ হওয়ার আগেই ব্রিফিং করে আসামিদের মিডিয়ার সামনে আনা বিচারকে প্রভাবিত করার সমান বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ মন্তব্য করেন।
জীবিত থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের শুনানিকালে এই কথা বলেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
মামলার শুনানিতে আদালত বলেন, ‘আসামি গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে বিচার শেষ হওয়ার আগেই ব্রিফিং করে আসামিদের মিডিয়ার সামনে আনা বিচারকে প্রভাবিত করার সমান। একইসঙ্গে তদন্ত চলার সময়ে মামলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিডিয়াতে টকশো করে, যা অনুচিত।’
আইনজীবী শিশির মনির শুনানিতে বলেন, উন্নত বিশ্বের সব জায়গায় জবানবন্দি নেওয়ার সময় আইনজীবী থাকেন। এটি বাংলাদেশেও থাকা উচিত। এরপর আদালত শুনানি শেষে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই নারায়ণগঞ্জের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর বাবা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
স্বীকারোক্তিতে তারা বলে যে, তারা ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিলো।
জীবিত থাকার পরও নারায়ণগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের দায়ের করা মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি আদায় সংক্রান্ত সদর থানার কার্যক্রমের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্নে হাইকোর্টে আবেদন জানান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ আইনজীবী।
এসএস